উপহার হিসেবে দেয়া চীনের সিনোফার্মের ছয় লাখ ডোজ টিকা গত রোববার ঢাকায় পৌঁছেছে। এর আগে আরও পাঁচ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছে চীন।
তবে এসব টিকা বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীদের দেয়ার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান।
সোমবার রাতে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার ব্যাপারে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি। এটি নিয়ে সরকার নির্দেশ দিলে তারপর আমরা টিকা দেয়া শুরু করব।’
মিজানুর রহমান বলেন, ‘১৯ তারিখ থেকে যে টিকা দেয়ার কথা বলা হচ্ছে, এটি মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের। পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা মেডিক্যালে এটি দেয়া হয়েছিল। এটির রেজাল্ট যেহেতু ভালো, তাই হাসাপাতালে যারা কাজ করছেন অর্থাৎ মেডিক্যাল এবং আইসিটি শিক্ষার্থীদের এটি দেয়া হবে ৷’
সরকারের নির্দেশনা আসার পর শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে মিজানুর রহমান বলেন, ‘টিকা দেয়ার ব্যাপারে সরকারের নির্দেশ এলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অনেক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন ইতিমধ্যে করা আছে। বাকিরাও করবে। রেজিস্ট্রেশন আইসিটি মিনিস্ট্রির মাধ্যমে প্ল্যাগিং করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা সেন্টারে গিয়ে টিকা নিতে পারবে।’
গ্রামে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা কোথা থেকে টিকা নেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কে, কোথা থেকে নিবে এ বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত দিবে। তবে ধারণা করা যায়, সিনোফার্মের টিকাগুলো জেলা শহরে আর ফাইজারের টিকা ঢাকা শহরে দেয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরও বলছেন, শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার নির্দেশনা না হওয়ার ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘যত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া যায়, ততই আমাদের জন্য উত্তম। আমাদের উদাত্ত আহ্বান থাকবে যাতে শিক্ষার্থীদের যত দ্রুত সম্ভব টিকা দেয়া যায়। তাহলে অনেক কাজকর্ম করতে আমাদের স্বাচ্ছন্দ্য হবে এবং শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘব হবে।’
উপহার হিসেবে পাওয়া চীনের টিকা আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের টিকার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কি না জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘সরকার বলেছে, এটি সরকারের দায়িত্ব। সকাল-বিকাল যোগাযোগ করা যায় না। দায়িত্বশীল মহলে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হয়।’